সুজন দাশ – এটি আমাদের গ্রুপের প্রথম আর্থিক সহায়তা ও কোন অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করা। ১৬-০৯-২০১৭ তারিখে আমরা নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দরিদ্র নরসুন্দর সুজন দাশের চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা করি এবং তার ঔষধের ব্যাপারে সাহায্য করি।

সুজন দাশ
ইয়াসিন আরাফাত – এই বাচ্চাটির বয়স ৬ মাস মাত্র এতো অল্প বয়সেই আক্রান্ত হয়েছিলো বেশ জটিল শিশু রোগে যা ডাক্তাররা খুঁজে বের করার আগেই চলে যেতে হয় না ফেরার দেশে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি বাচ্চাটির সকল চিকিৎসার ব্যপারে। বাচ্চাটির বাবা ছিলো প্রতিবন্ধী, মা মানুষের বাসায় কাজ করতো, ভীষণ দরিদ্র পরিবার। চিকিৎসার প্রাথমিক সকল খরচ আমরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বহন করি। ১০-০২-২০১৮ তারিখে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় আর্থিক সহায়তা, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে শেষ অব্দি বাঁচানো যায় নি ছেলেটিকে।
ইয়াছিন আরাফাত
হাসিনা ফেরদৌস – বেগমগঞ্জ জয়াগ কলেজের অধ্যাপক হাসিনা ফেরদৌস ম্যাডাম, তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত, ১৬-০৪-২০১৮ তারিখে উত্তরায় তার অস্থায়ী ঠিকানায় আমরা গিয়ে গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে ভালো আছেন।
আকবর হোসেন আরমানঃ
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার মুছাপুর ৮ নং ওয়ার্ড এর নুর উদ্দিন মাঝি বাড়ির (চৌধুরী বাজার) মোঃ বাবুল মিয়ার ছেলে চর বড়ধলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্র ৮ বছর বয়সের আরমান এর দুইটা কিডনি নষ্টের পথে। বাচ্চাটার পরিবার ভীষণ দরিদ্র। বাবা টুকটাক কাজ করেন মা ও এক দোকানে মাঝে মাঝে কাজ করেন। এভাবেই সংসার চলে তাই এই পরিবারের পক্ষে মোটেই সম্ভব না ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানো। আমরা এগিয়ে আসি, সংগ্রহ করি গ্রুপ থেকে কিছু অর্থ (প্রায় ৩০,০০০/-)আর পৌঁছে দেই বাচ্চাটার পরিবারের হাতে আর তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসার সহায়তা করা হচ্ছে। সে ভর্তি আছে ঢাকা পিজি হাসপাতালে। আমরা তার সার্বক্ষনিক খোঁজ রাখছি।
আকবর হোসেন আরমান
খিজির রহমান আবিরঃ
আবিরের বয়স ৯ মাস সে হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত। আবির নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ জেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মোটা চান মিয়া বাড়ির আব্দুর সাত্তারের ছেলে। সে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে এ চিকিৎসা নেয়। আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে বাচ্চাটির পরিবারের হাতে ১০,০০০/- আর্থিক সহায়তা তুলে দেয়া হয়।
নীরব রহমানঃ
নিরব তখন দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য আমরা গিয়েছিলাম আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করা সামান্য অনুদানটুকু তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেবার জন্য। আমরা গিয়েছিলাম নিরবের আব্বা আম্মার সাথে বেশ অনেকক্ষন কথা বলেছি বিভিন্ন বিষয়ে। সান্তনা দেবার চেষ্টা করেছি। জানি হয়ত সান্তনা কিছুই না। তবুও তাঁদের ছেলের পাশে আমরা আছি এইটুকু বলতে গেছি আর গ্রুপের মাধ্যমে সংগৃহীত ৫০,৬০০ টাকা তুলে দিতে।
আব্দুল মান্নানঃ
আব্দুল মান্নান, বয়স ১৩ বছর। দরিদ্র বলতে যা বোঝায় সে সীমাও পার করে গেছে মান্নানের পরিবার। ব্যাপারটা এমন তারা যে খাবার খাবে সেই টাকাটা রোজ জোগাড় হয় না। মান্নান প্রায় ১ মাস ধরে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ভীষণ অসুস্থ হয়ে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিদিনের খাবার, ঔষধ, টেস্ট ইত্যাদি করতে গিয়ে ভীষণ খারাপ অবস্থা। আমাদের রয়েল ডিস্ট্রিক্ট নোয়াখালী গ্রুপের টিম গিয়েছিলো মান্নানের খোঁজ নিতে। মান্নানের বাবার কান্না ছুঁয়ে গেছে আমাদের হৃদয়। আমরা আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা মোট অনুদান পেয়েছি ১১৬৭৫/-
মেডিসিন কিনে দিয়েছি ২০৫০/- ফল কিনে দিয়েছি – ১০৫০/- আর ক্যাশ – ৮৫৭৫/- তুলে দিয়েছি মান্নানের বাবা মায়ের হাতে। আমরা অক্টোবর ৮, ২০১৮ তারিখে এই অনুদান/ সাহায্য তাদের হাতে তুলে দেই।

