অসম্মানিত করা হলো আহম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শহীদ স্মৃতি সৌধটিকে!! এই সৌধটি যে আছে ওখানে তা কি আমরা নোয়াখালীবাসী জানি? আমরা কি জানি ১৯৭১ সালের ১৫ই জুন এই এলাকায় কতো মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে হানাদাররা? কেনো এই শহীদ স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়েছে? হয়ত কেউ জানি কেউ জানিই না। এই ভুলতে বসা স্মৃতির মতো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছিলো এই স্মৃতি ফলক, রাজনৈতিক বাড়াবাড়িতে প্রায় ঢেকে গেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন আহা স্বজাতি এ দেশের জন্য যারা জীবন দিলো তাঁদের সম্মান তো দূরে থাক যেনো স্মৃতিটুকু মুছে ফেলতে পারলেই আমরা বাঁচি। যে মানুষগুলোর পোষ্টার দিয়ে এই ফলকটি ঢেকে দেয়া হয়েছে তারাও কিন্তু দেশ ও জাতির সেবা করার জন্যই তাদের এই বাড়াবাড়ি রকমের প্রচারনা করছে। কিন্তু, আদতে দেশ প্রেমিকদের স্মৃতি ঢেকে দিয়ে কি নতুন দেশ প্রেমিকের জন্ম হবে? আজ আরডিএন মাত্র ৩ জন সদস্য নিয়ে এই স্মৃতি ফলকটি পরিচ্ছন্নতার কাজটি সম্পন্ন করে এলো গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ। আমরা পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে এসেছি হয়ত কালই আবার ঢেকে যাবে। কিন্তু অনুরোধ রইলো প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে, দোহাই লাগে অন্তত দেশের শ্রেষ্ট সন্তানদের স্মৃতিটুকু সম্মানিত না করতে পারি অন্তত নোংরা না করি। আরডিএন এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পরিচ্ছন্ন নোয়াখালী কার্যক্রম, যার মাধ্যমে আমরা নোয়াখালীর স্মৃতিবিজড়িত ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক গুলো ও পাবলিক স্থানগুলো পরিচ্ছন্ন করার কাজ করে যাচ্ছি ২০১৮ সাল থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই কার্যক্রম ছিলো সোনাপুর আহম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি সৌধ পরিচ্ছন্ন করার কাজ।। দোহাই লাগে এলাকাবাসী যারা এই পোস্ট দেখবেন মুক্তিযুদ্ধের এই মহান স্মৃতি ফলকটি রক্ষা করতে আপনারা এগিয়ে আসুন। সবাই মিলেই পরিচ্ছন্ন একটি জেলা তথা দেশ গড়বো আমরা সবাই।।