মহা ধুমধামে সম্পন্ন হয়ে গেলো যথারীতি নোয়াখালীর সব থেকে বড় মিলনমেলা বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজয় মেলা ২০২১। লাখ লাখ টাকার বানিজ্য হয়ে গেলো ১৫-১৬ দিনে।। বানিজ্য হলো, মিলনমেলা হলো, বিনোদিত হলো মানুষ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। কারোই বিবেক জাগ্রত হয় নি, মানুষের নূন্যতম পরিচ্ছন্নতা বোধটুকুও তৈরি হয় নি। বিনোদিত হয়ে ঠিকই ফিরে গেছে সবাই যার যার বাসায়, বানিজ্য করে সবাই পকেট গরম করে বাসায় ফিরে গেছে। ফেলে গেছে টনকে টন ময়লা, পলিথিন, কাগজ, প্যাকেট, বক্স, কৌটা ইত্যাদি। কেউ একবারের জন্যও তার নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে সামান্য হাতটুকুও লাগায় নি, লাগায় না এই নোংরা শহরটা পরিস্কারে। কিন্তু ঠিকই ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে ঠিকই বুলি কপচায় ইশ নোয়াখালী শহরটা কি নোংরা, কি অপরিচ্ছন্ন একেবারে যাচ্ছে তাই।
আরডিএন বসে থাকে না, আরডিএন খুঁজে খুঁজে এই দিন গুলো বের করে যাতে করে ঐ ভদ্রলোকদের ফেলে যাওয়া ময়লাগুলো যতোটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন করে তাদের একটা বার্তা অন্তত দিতে পারে, যে ভাই দয়া করে শহরটা পরিচ্ছন্ন দেখতে চাইলে আগে নিজে রাস্তায় নেমে আসুন, হাত লাগান, একটা খড়কুটো তুলে ডাস্টবিনে ফেলুন, আমাদের আজকের এই অভিযানে মাত্র ৭ জনের দল ছিলো তাদের মাত্র ১৪টা হাত আর আপনি আমি সবাই নেমে এলে কয়েক লক্ষ হাত মুহুর্তেই কিন্তু এই শহর পরিস্কার হয়ে যায়। কখনো এসেছেন রাস্তায়? একবার নেমে আসুন দেখবেন কি সুন্দর হয়ে যাবে এই শহর।।
কর্তৃপক্ষের কাছে আর কি চাইবো? কতো চাইবো? আমরা তো টাকা চাই না, অসম্ভব কিছু চাই না, শুধু চাই এই শহরের ফেলে রাখা ময়লা গুলো ঠিক সময়ে পরিস্কার করে একটা সুন্দর জেলা উপহার দিন আমাদের। তাইলেই আমাদের রয়েল ডিসট্রিক্ট নোয়াখালী – আরডিএন এর সব থেকে প্রধান উদ্যোগ পরিচ্ছন্ন নোয়াখালী কার্যক্রম সফল হবে।
৭ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার সকালে আরডিএন এর মাত্র ৭ জন ভলেন্টিয়ার মিলে কচিকাঁচার পশ্চিম দিকের যতোটা সম্ভব ময়লা পরিস্কার করার চেষ্টা করেছি মাত্র। চাইলে এসে খুঁজে খুঁজে আমাদের খুঁত বাইর করতে পারেন সমস্যা নাই তবুও তো একবার আসলেন রাস্তায়, নামলেন দেখতে কি করে ময়লা হয় আর পরিস্কারই বা কি ভাবে করা যায়।।
পরিস্কার না করেন দয়া করে শহরটা নোংরা করবেন না।।