২১শে ফেব্রুয়ারী পরবর্তি সময়ে শহিদ মিনার থেকে সরানো হয়নি ফুল, ককশিট, পাতা ও বিভিন্ন আবর্জনা। কি লাভ এই সম্মানের?? সঠিক সম্মান দেখাতে না পারলে ঐ দিবস কেন্দ্রিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধার আদিখ্যেতা দেখিয়ে নিজের অস্তিত্বের চরম সমাপ্তি ঘোষণা করার কি দরকার??? ঐ একদিন যে সম্মান দেখানো হয় তা বাকি ৩৬৪ দিন আর হয় না। ধরতে গেলে বাকি দিনগুলোতে চরম অবহেলায় পড়ে থাকে ভাষা শহিদের স্মৃতি চিহ্ন “শহিদ মিনার”। শিক্ষিত মানুষগুলো প্রতি নিয়ত জুতো পড়ে উঠে যায় ছবি তুলতে, বাদাম খেয়ে খোসা ছড়িয়ে দিয়ে যায় আর সেই ছবি ফেইসবুকে শেয়ার দিয়ে আহা দেশ প্রেম, আহা সম্মান বলে মিথ্যা বুলি/ স্ট্যাটাস দেখায় ভার্চুয়াল জগতে বিবেকহীন বাঙ্গালীরা।
আমরা শুধু দেখে থাকি না আমাদের বিবেকে বাঁধে তাই কাল গ্রুপে একজন পোস্ট করলো শহিদ মিনারের করুন দশা, অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে। আমরা কালই সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ সকাল ৯টায় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আমরা মাত্র ৭-৮ জন ভলেন্টিয়ার মিলে আমাদের পরিচ্ছন্ন নোয়াখালী কার্যক্রমের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় পরিচ্ছন্ন করেছি পুরো শহিদ মিনার। আমরা শুধু এইটুকু করি কিন্তু বাকিরা আমাদের সমান এইটুকু করলেও অনেক অনেক আগে নোয়াখালী একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতো। আমাদের হাতে কিছুই ছিলো না ছেলেরা এর ওর কাছ থেকে চেয়ে দুইটা ঝাড়ু জোগাড় করলে বেলচা নাই তাই এদিক ওদিক খুঁজে দুইটা বাতিল পেস্টুন খুলে নিয়ে বেলচার কাজ করলো। সেগুলো সরানোর জন্য গাড়ি/ ভ্যান ছিলো না ছেলে মেয়েগুলো সেই পেস্টুনকে ভ্যানের মতো করে ময়লা নিয়ে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেছে।